ঢাকা,শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়ায় বনবিভাগের উচ্ছেদে নারীদের মারধর করে স্কুলটিও গুড়িয়ে দিয়েছে

kalarmarchora-forestচকরিয়া অফিস:

চকরিয়ায় বনবিভাগের উচ্ছেদ অভিযানে খোলা আকাশের নিচে মানবেতর রাত যাপন করেছেন শতাধিক পরিবার। অভিযানে একমাত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিখন স্কুলটিও গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এতে ৬২জন শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

গত শনিবার চট্টগ্রাম দক্ষিন বনবিভাগ চুনতী রেঞ্জের বরইতলী বনবিটের বানিয়ারছড়া এলাকার অবৈধ ৩৫টি বসতি উচ্ছেদ করে। এলাকার একমাত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিখন স্কুলটিও গুড়িয়ে দেওয়া হয়। বর্তমানে উচ্ছেদ হওয়া পরিবার গুলো খোলা আকাশের নিচে মানবেতর রাত যাপন করছেন। মাথা গোঁজার ঠাই হারিয়ে বেশিরভাগ পরিবার দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।

ক্ষতিগ্রস্থদের পরিবার গুলোর অভিযোগ, তাঁরা ভুমিহীন, কারো বাড়ি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। তাঁরা কয়েক যুগ ধরে পাহাড়ে বসবাস করছেন। কিন্তু বনবিভাগের লোকজন অভিযান চালিয়ে বসতি গুলো উচ্ছেদ করলেও প্রভাবশালীদের বাড়িতে হাতও দেয়নি। ওইসব বসতিও উচ্ছেদ করতে হবে। শিশু ও নারীদের মারধর করেছে। বনকর্মীরা শুধু ঘরবাড়ি ভেঙ্গে দেয়নি, লুটপাট চালিয়েছে। স্বর্ণ, নগদ টাকা ও একটি ল্যাপটপ লুট করেছে অভিযানের নামে।

নুরুল ইসলাম জানান, পরিবার প্রায় ৪০বছর ধরে বানিয়ারছড়া পাহাড়ে আশ্রয় নিয়েছেন। অভিযানে তার বাড়িও গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এতে পরিবারের নগদ টাকা, দুই ভরি স্বর্ণ, আসবাবপত্র লুট ও তছনছ করে দেয়ার ফলে তাঁর পরিবারের প্রায় ১৫লাখ টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে। #

পাঠকের মতামত: